স্টাফ রিপোর্টারঃ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, শপিংমল ও বিভিন্ন রেস্টুরেন্টসহ সব স্থানেই সতর্কবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
গুলশানে জঙ্গি হামলার পর রাজধানীর সর্বোচ্চ জুড়েই সতর্কবস্থানে অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সবখানেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বড় বড় রেস্টুরেন্ট ও স্থাপনার সামনে সশস্ত্র অবস্তায় দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ সদস্যরা।
গুলশান, বনানী, বারিধারা নিকেতনসহ বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে পুলিশের একাধিক চেকপোস্ট। প্রতিটি এলাকায় পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মােতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি চেকপোস্টেই চালানো হচ্ছে তল্লাশি।
শনিবার (১৬ জুলাই) দিনগত রাত দেড়টার দিকে নতুন বাজারে দিয়ে গুলশানের যাওয়ার পথেই বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। রাস্তার দুই পাশেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ‘অন গার্ড’ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। গুলশানে প্রবেশ ও বাহির হওয়া প্রতিটি যানবাহনেই তল্লাশি চালাচ্ছে তারা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় হাতে টর্চলাইট নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে।
চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ন কবির অগ্রদৃষ্টিকে বলেন, এই পথে প্রবেশের সময় সব যানবাহন ও ব্যক্তিকে তল্লাশির আওতায় আনা হচ্ছে। তল্লাশির সময় কোনো প্রকার ছাড়া দেওয়ার সুযোগ নেই।
এদিকে গুলশান বনানী, নিকেতন ও বারিধারা এলাকায় সরেজমিতে ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্য মোতায়ন রয়েছে।
গুলশান-২ এ গিয়ে দেখা যায়, পুরো রাস্তাতেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থায় করে আছে। এ বিষয় গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন অগ্রদৃষ্টিকে জানান, গুলশানের ভেতরে প্রায় প্রতিটি মোড়েই নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা।
গুলশান-১ নম্বর থেকে মহাখালী-বাড্ডা যাওয়া ও আসার পথে রয়েছে চেকপোস্ট। শহীদ ডা. ফজলে বাব্বি পার্কের সামনেও রয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট।
ঘড়ির কাটায় যখন রাত ২টা বেজে ৭ মিনিট। সুটিংক্লাবের সামনে দায়িত্বরত অবস্থায় এপিবেএন’র নায়েব মো. সাইদ অগ্রদৃষ্টিকে বলেন, দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি ব্যক্তি ও যানবাহন তল্লাশি করা হচ্ছে।
এ সময় চেকপোস্টে একটি রিকশায় একজন যাত্রী আসলেও তাকে ও তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে তার গন্তব্যের কথা জিজ্ঞাসা করে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
মো. শহীদুল নামের এক যাত্রী অগ্রদৃষ্টিকে বলেন, পুলিশ এখন এতো তল্লাশি করছে। এই কাজগুলো যদি আগেই করতো তাহলে গুলশানে এতো বড় ঘটনা ঘটতো না।
এদিকে মহাখালী থেকে বনানী হয়ে হাইওয়ে সড়কে পুলিশের নজরদারি রয়েছে। বনানী-কাকলী থেকে একটি সামনে গেলেই দেখা যায়, পুলিশের চেকপোস্ট। তবে সন্দেহ হলেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাদিকুজ্জামান অগ্রদৃষ্টিকে বলেন, হাইওয়ে রোডের সব গাড়িতে তল্লাশি করা সম্ভব হয় না। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সন্দেহ হলেই তল্লাশি করা হচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, রাজধানীতে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দিন-রাত নজরদারি করে যাচ্ছে।